ত্বকের রং কি ফর্সা করা যায় ? || why not use the conventional color whitening cream in the market

ত্বকের রং কি ফর্সা করা যায় ? ||  why not use the conventional color whitening cream in the market

আলোচনা করেছেনঃ

ডাঃ এস.এম. রাসেল ফারুক
এম. বি. বি. এস (ঢাকা), এম. পি. এইচ. এম. এস. সি

ডি. ডি. ভি সিনিয়র কনসালটেন্ট, ন্যাশনাল স্কিন সেন্টার, পান্থপথ, ঢাকা চর্ম, যৌন, এলার্জি, ব্রণ, চুল পড়া, শ্বেতী রোগ কসমেটিক লেজার, ডার্মাটো সার্জারী বিশেষজ্ঞ এবং হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন

.......................................................................................................................................................



ফর্সা মানেই সুন্দর- এই ধারণার সঙ্গে বেড়েছে রং ফর্সাকারী ক্রিমের ব্যবহার । বাজারে বিভিন্ন ধরনের রঙ ফর্সাকারী ক্রিম পাওয়া যায় । ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে প্রচার করা হয় চটকদার সব বিজ্ঞাপন । লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেখে ক্রিম ব্যবহার করে ফর্সা হওয়ার মন্ত্রে লুকিয়ে আছে বিপদ ।
চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব ক্রিমের ক্ষতিকর উপাদানের কারণে ব্যবহারকারীর শরীরে নানা রকম চর্ম রোগ সৃষ্টি করছে । শুধু তাই নয়, দীর্ঘ দিন ব্যবহারে ক্যান্সারসহ বেশ কিছু ভয়ঙ্কর রোগের কারণ হতে পারে এসব ক্রিম ।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র রসায়ন বিভাগের শিক্ষক সব্যসাচী বাবু তার প্রবন্ধে লিখেছেন, ফর্সা করার বিভিন্ন ক্রিমে উপাদান হিসেবে অ্যাক্টিভ কার্বন ব্যবহার করা হয় । অ্যাক্টিভ কার্বন মূলত কোনো জৈবিক পদার্থ পুড়িয়ে পাওয়া যায় । তবে ফর্সা হওয়ার ক্রিমে যে অ্যাক্টিভ কার্বন ব্যবহার করা হয় তাতে ‘ন্যানো কার্বন’ থাকে । এই ন্যানো কার্বন আলো এবং বাতাসের সংস্পর্শে ‘অ্যাক্টিভ অক্সিজেন’-এ রূপান্তরিত হয় । এই অ্যাক্টিভ অক্সিজেন মানুষের চামকড়ার কোষ মেরে ফেলে । ফলে চামড়ায় ক্যান্সার দেখা দিতে পারে ।
একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নানা ক্যামিকেল দিয়ে তৈরি এসব ফর্সা হওয়ার ক্রিম মুখে লাগালে ত্বক তার সৌন্দর্য হারাতে শুরু করে । সেই সঙ্গে চামড়া মোটা হয়ে যাওয়া, স্ট্রেচ মার্ক সহ ত্বকের নানা সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় ।
যেসব ফর্সা হওয়ার ক্রিমে ২ শতাংশের বেশি হাইড্রোকুইনান থাকে, সেসব ক্রিম টানা ৩ মাস মুখে লাগালে মুখ ফর্সা হওয়ার পরিবর্তে কালো হয়ে যেতে পারে । সেই সঙ্গে মুখের পাশাপাশি সারা শরীরে হাইপারপিগমেন্টটেশনের মতো ত্বকের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় ।
দীর্ঘদিন ধরে ফর্সা হওয়ার ক্রিম মুখে লাগালে ত্বকের ক্ষত সারানোর ক্ষমতা একেবারে নষ্ট হয়ে যায় । ফলে ত্বকের নানা রোগের প্রকোপও বৃদ্ধি পায় ।
ব্রিটিশ জার্নাল অব ডার্মাটোলজিতে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে, যারা ব্রণ, ডার্মাটাইটিস এবং একজিমার মতো ত্বকের রোগে ভুগছেন তারা যদি ফর্সা হাওয়ার ক্রিম ব্যবহার করেন, তাহলে এসব রোগের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে ।


এতো কিছু জানার পরও কি আপনি রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহার করবেন ?
ক্রিম ব্যবহার করে কেউ ফর্সা হয় না । রঙ ফর্সা করার এই মানসিক চিন্তাটাই তো ভুল । সব মানুষকে ফর্সা কেন হতে হবে ? আমরা বলছি না সুন্দর হতে চাওয়াটা দোষের । বরং নিজেকে সুস্থ সুন্দর রাখাটা একজন মানুষের অধিকার । মনে রাখতে হবে ‘ফ্রেশ মানেই সুন্দর

ফর্সা হওয়ার ক্রিমত্বক ফর্সা করার ক্রিমনাইট ক্রিম

Post a Comment

0 Comments